Who is the "torenza" passport woman and why is the jfk airport video going viral explained
“টোরেনাজা” – সেই হারিয়ে যাওয়া ভ্রমণকারিণী | "Torrenaja" the lost traveler, JFK Airport woman
JFK Airport News
নিউ ইয়র্কের জন এফ. কেনেডি (JFK) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
তারিখ—১৯৫৪ সালের এক গ্রীষ্মের সকাল। প্রতিদিনের মতোই ব্যস্ত টার্মিনাল, যাত্রীদের কোলাহল, ঘোষণা বেজে উঠছে আকাশে—
“Flight 914 from Tokyo has arrived.”
সব কিছুই যেন একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু ঠিক সেদিনই ঘটেছিল এমন এক ঘটনা, যা পরবর্তী ৭০ বছর ধরে বিশ্বের রহস্যপ্রেমীদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
অদ্ভুত আগমন
টোকিও থেকে আসা ফ্লাইটের এক বয়স্ক মহিলা ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে এগিয়ে আসেন।
সাদা পোশাক, ধূসর কেশ, কিন্তু মুখে অদ্ভুত শান্তি। যেন বহু যাত্রা শেষে তিনি অবশেষে কোনো গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
ইমিগ্রেশন অফিসার রুটিনমাফিক তাঁর পাসপোর্ট হাতে নিয়ে তাকালেন—
আর ঠিক তখনই তাঁর মুখের ভাব বদলে গেল।Home
পাসপোর্টে লেখা দেশের নাম: TORENAZA
অফিসার প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো ভুল ছাপা হয়েছে। কিন্তু না—সবকিছু একেবারে নিখুঁতভাবে ছাপা, এমবসড, বায়োমেট্রিক ডেটা সংযুক্ত, এমনকি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কয়েক ডজন সিল!
সবকিছু এতটাই স্বাভাবিক, যেন এই দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে বহুদিন ধরেই আছে।
অফিসার অবাক হয়ে বললেন,
“Ma’am, could you please confirm where your country is located?”
মহিলা শান্তভাবে বললেন,
“It’s between Japan and Andorra, a small country named Torenaza. Don’t you know it?”
কাউন্টারের পেছনে থাকা অন্য কর্মকর্তারাও মানচিত্র খুলে দেখতে লাগলেন।
পৃথিবীর কোনো কোণে “Torenaza” নামে দেশ নেই।
অস্তিত্বহীন দেশের অস্তিত্ব
এয়ারপোর্ট অথরিটি তাঁকে জিজ্ঞেস করল—তিনি কি নিশ্চিত তাঁর দেশ পৃথিবীতে আছে?
তখন মহিলা একটু বিভ্রান্ত চেহারায় উত্তর দিলেন,
“আমি তো ঠিকই এসেছি জাপান থেকে। পৃথিবীর বাইরে আর কোথায় যাব?”
History of rome
তবে তদন্তে দেখা গেল—তার পাসপোর্টে ভ্রমণের সিল আছে এমন দেশগুলোর নামও কেউ শোনেনি।
যেমন: “Liarvia”, “Odar”, “Sernia” — এসব দেশের কোনো অস্তিত্বই পৃথিবীর ইতিহাসে নেই।
তবু প্রতিটি সিল, প্রতিটি তারিখ, প্রতিটি স্ট্যাম্প একেবারে অরিজিনাল ফরম্যাটে।
এমনকি সেগুলোর ইঙ্ক পরীক্ষায়ও দেখা যায় — এগুলো বাস্তব অফিসিয়াল স্ট্যাম্পের মতোই আসল!
কোনো প্রতারণা নয়, কোনো জালিয়াতির ছাপও নেই।
সন্দেহ ও পর্যবেক্ষণ
বিস্মিত কর্মকর্তারা মহিলাকে ভদ্রভাবে “Observation Room”-এ নিয়ে যান।
সেখানে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় নিরাপত্তার কারণে, যতক্ষণ না বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
তাঁকে এক গ্লাস পানি দেওয়া হয়, এবং একজন অনুবাদক তাঁর সঙ্গে আলাপ শুরু করেন।
তিনি বলেন,
“আমি টোরেনাজার নাগরিক। আমি কাজের সূত্রে জাপানে গিয়েছিলাম। এখন আমেরিকায় ট্রানজিট নিয়ে আবার দেশে ফিরবো। কিন্তু যদি আপনারা বলেন টোরেনাজা নেই… তাহলে আমি কোথায়?”
তাঁর কণ্ঠে আতঙ্ক নয়, বরং কৌতূহল। যেন তিনিও বুঝতে পারছেন না, কীভাবে তিনি এমন এক পৃথিবীতে এসে পড়েছেন যেখানে তাঁর দেশটাই নেই।
অফিসাররা তখন তাঁর ফ্লাইটের তথ্য যাচাই করতে শুরু করেন। কিন্তু আশ্চর্য!
যে এয়ারলাইন তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সেটি কোনোদিনই অস্তিত্বে ছিল না।
তাঁর বোর্ডিং পাসও এমনভাবে তৈরি, যা সেই সময়ের স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে—কিন্তু কোনো ডাটাবেসে নেই সেই টিকিট নম্বর।
সময় থমকে গেল
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
সব কিছু রেকর্ড করা হচ্ছিল CCTV-তে।
ঠিক তখনই — ঘড়ির কাঁটা থেমে যায় না, কিন্তু ক্যামেরাগুলো একে একে ব্ল্যাকআউট হতে শুরু করে।
৫ মিনিটের জন্য গোটা রুমের সমস্ত ক্যামেরা অফলাইন হয়ে যায়।
যখন আবার সিস্টেম চালু হয়, চেয়ারটা ফাঁকা।
সেই বৃদ্ধা নেই।
দরজায় বা জানালায় কোনো ছোঁয়া নেই, সিকিউরিটি গেটের অ্যালার্মও বাজেনি।
তিনি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন।
কর্মকর্তারা তন্নতন্ন করে খুঁজলেন—এয়ারপোর্টের প্রতিটি প্রস্থান পরীক্ষা করা হলো।
কিন্তু সেই বৃদ্ধার কোনো চিহ্ন আর কখনোই পাওয়া গেল না।
রহস্যের পরত খুলে যায় না
ঘটনাটি খুব দ্রুত “Classified” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
CCTV ফুটেজ বিশেষ তদন্ত সংস্থা জব্দ করে নেয়।
তবে কয়েকজন অফিসার পরবর্তীতে অবসর নেওয়ার পর জানিয়েছেন—
ফুটেজে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে যেন আলো-ছায়ার একটা বিকৃতি তৈরি হয়, তারপর হঠাৎই ফ্রেম অন্ধকার হয়ে যায়।
আলো ফিরে আসার পর তিনি নেই।
কেউ বলে, হয়তো এটা টাইম-ট্রাভেল বা ডাইমেনশনাল গেটওয়ের ঘটনা।
অন্যরা বলে, পুরো বিষয়টাই কোনো গোপন পরীক্ষার অংশ ছিল।
কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই —
যে পাসপোর্টটি তখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তাতে ব্যবহৃত কাগজ ও ইঙ্কের মান আধুনিক যুগের প্রযুক্তির থেকেও উন্নত ছিল।
এবং সেটি আজও একটি গোপন সরকারি আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে বলে শোনা যায় |
অন্য মাত্রার সম্ভাবনা
বিজ্ঞানীরা পরে এই ঘটনাকে “Interdimensional Displacement Hypothesis” নামে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
তাদের মতে, মহিলাটি হয়তো এমন এক সমান্তরাল পৃথিবী (Parallel Earth) থেকে এসেছিলেন, যেখানে টোরেনাজা বাস্তব দেশ।
কোনো কসমিক ত্রুটির কারণে তিনি হঠাৎ আমাদের পৃথিবীতে এসে পড়েন।
তারপর যখন মহাবিশ্বের ভারসাম্য ফিরিয়ে নেয়, তিনি আবার নিজের বাস্তবতায় ফিরে যান।
এই তত্ত্ব শুনে কেউ হেসেছে, কেউ ভেবেছে।
কিন্তু আজও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে ঘটনাটি সত্য নয়।
ইতিহাসে অনুলিখিত এক নারী
সময় গড়িয়েছে বহু বছর।
JFK এয়ারপোর্টে প্রতিদিন লাখো যাত্রী আসে-যায়, কিন্তু যারা কাজ করেন বহুদিন ধরে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো বলেন—
রাতের নির্জনে কখনো কখনো টার্মিনাল ৩-এ এক সাদা পোশাকের বৃদ্ধা দেখা দেন, হাতে পুরনো ধাঁচের নীল পাসপোর্ট।
তিনি নাকি কারও কাছে এসে শান্ত স্বরে বলেন—
“Excuse me, can you tell me where Torenaza is?”
তারপর আলো ঝলকায়, এবং তিনি মিলিয়ে যান কুয়াশার মতো।
উপসংহার
এই ঘটনাটি আজও রহস্য হয়ে আছে।
এটি কি সত্যি ঘটেছিল? নাকি ইন্টারনেট যুগের কোনো কল্পকাহিনি?
তবে একটা জিনিস নিশ্চিত —
এই গল্পটি আমাদের কৌতূহলকে জাগিয়ে তোলে, আমাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞানকে প্রশ্ন করে।
হয়তো মহাবিশ্বে এমন আরও অনেক “টোরেনাজা” আছে —
যাদের আমরা এখনো আবিষ্কার করতে পারিনি।
আর সেই বৃদ্ধা মহিলা?
তিনি হয়তো আজও কোথাও আছেন — এমন এক বাস্তবতায়, যেখানে আমেরিকা নামের দেশটাই হয়তো নেই…
Recommend article :
The Meteoric Iron of London A Giant from the Sky | লন্ডনের উল্কাপিণ্ডের লোহা আকাশ থেকে এক দৈত্য





Comments
Post a Comment